ইউএস ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকসের মতে, তথ্য সুরক্ষা বিশ্লেষকদের চাকরির বাজার ২০২৮ সালের মধ্যে ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এটি দ্রুত বর্ধনশীল চাকরির ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সাইবার সিকিউরিটি ভেঞ্চারস অনুসন্ধানে পেয়েছে যে, ২০২১ সালে এ খাতে ৩৫ লাখ চাকরি থাকবে। এর মানে হলো যে সাইবার নিরাপত্তায় পেশাজীবীরা চাকরির বাজারে বিশ্বজুড়ে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। আগামী বছরগুলোতেও তা বজায় থাকবে।


সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের পরিসর ব্যাপক। যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার সিকিউরিটি ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সাইবার সিকিউরিটি জগতে ২২২ ধরনের কাজে দক্ষতা তৈরির সুযোগ আছে। আগ্রহী তরুণরা যেকোনো একটিকে বেছে নিয়ে নিজের ও পেশাগত উন্নতি ঘটাতে পারেন, দক্ষতা বাড়াতে পারেন এবং ব্যক্তিগত পরিসর আরও বড় করতে পারেন।


করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের চাকরির তথ্যবিষয়ক ওয়েব পোর্টালগুলোতে দেখা গেছে বিভিন্ন খাতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র কমেছে। কিন্তু বিশেষ কিছু কাজের বেলায় ব্যতিক্রম ছিল। এরমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত অন্যতম। এ খাতের বিভিন্ন কাজে চাকরির বিজ্ঞপ্তি বরাবরই ভালো সংখ্যক ছিল।


সাইবার সিকিউরিটি খাতে জনশক্তি নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষকে ঠিকভাবে বুঝাতে পারলে, ঝুঁকির বিষয়গুলো চিহ্নিত করে দিতে পারলে তারাও বিষয়টিতে গুরুত্ব দেবেন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমেই বাংলাদেশে বেরে চলছে।


সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার গড়তে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়তেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করা, যে কেউ সাইবার নিরাপত্তা প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। এজন্য এক বছর পরিকল্পিতভাবে কাজে লেগে থাকলে নিজের দক্ষতা এবং ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব।